বাংলা নাটকে এআই, দূর্গা স্তোত্র পাঠ , বার্লিনের পথে শোভাযাত্রা

Durga Puja 2025:

Durga Puja 2025 Berlin Sarbojonin Durgotsob 2025

পূজা সুর সাহা

দুর্গা পুজো। পাড়ার এবং প্রবাসের। একথা বলার কারণ, পুজো আসছে বললেই এই যে মনে ওপার আনন্দ আসে, তা কি কেবল কলকাতা কিংবা বাংলার গ্রামে গ্রামে। একেবারেই না। পাড়া কিংবা সুদূর প্রবাস, পুজ শুনলেই বাঙালি যেখানে আছেন, সুর ছড়িয়ে যায় সেখানেই।

বার্লিনতো তালিকা থেকে আলাদা নয়। বার্লিনের এন.আর.আই বাঙালিরা মেতে উঠেছেন পুজোর তোড়জোড়ে। একদিকে অফিস, একদিকে ঘরের নানা কাজ সঙ্গে পুজোর চূড়ান্ত প্রস্তুতি। যদিও এটা প্রথম বছর নয়। গত কয়েকবছর ধরেই চলছে এই কর্মযজ্ঞ।

 বার্লিন সর্বজনীন দুর্গোৎসব এবার পঞ্চম বর্ষে পা  রাখছে। ইগনাইট ই.ভি. দ্বারা আয়োজিত এই পুজোর উদ্বোধন হবে পঞ্চমীতেই। বিদেশের মাটিতে হওয়া সত্ত্বেও, দু' দিনের নয়, ছ' দিন ধরে চলবে পুজো এবং তার  সঙ্গে  সমান তালে চলবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিদিন  সন্ধেবেলায় দুই থেকে পঁচাত্তর, সব বয়সী এবং ভাষাভাষী শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন এই পুজোর অনুষ্ঠানে।


কীভাবে আয়োজন হচ্ছে? এই প্রশ্ন করছেন অনেকেই। প্রতিটা কাজের জন্য রয়েছে বিভিন্ন টিম। পুজো আচার টিম, ফোটোগ্রাফি টিম, মিডিয়া  টিম, কালচারাল  টিম  ইত্যাদি। একটাই উদ্দেশ্য ,প্রবাসে রয়েছেন বলে কেউ যেন পুজোর চারদিনে ঘরের কথা ভেবে মনখারাপ না করেন।

 ২০২১-এ ঠাকুরের প্রতিমা নিয়ে আনা হয়েছিল কুমোরটুলি থেকে, শিল্পী মিন্টু পাল। পঞ্জিকার তিথি মেনে অত্যন্ত নিষ্ঠা সহকারে পালন করা হয় পুজোর সব নিয়ম। কুমারিপুজো থেকে সন্ধি পুজো, কোনও কিছু বাদ দেওয়া হয় না। পুজোর কয়দিন ঠিক ব্যবস্থা করে ছুটি নিয়ে অথবা কোনো প্রকারে কয়েক ঘণ্টার জন্য অফিস থেকে বিরতি নিয়ে চলে আসেন সকলেই মা দুর্গার আহ্বানে।

গতবছর প্রায় ছয় হাজার দর্শনার্থীকে স্বাগত জানিয়েছে আমাদের পুজো। বর্তমান একশো চল্লিশটি পরিবার নিয়ে গড়ে উঠেছে এই সংগঠন। খাদ্যরসিক বাঙালির জন্য প্রতিদিন দু' বেলা থাকবে খাঁটি বাঙালি খাবার। যেমন- ধোকার ডালনা থেকে শুরু করে লুচি বেগুন ভাজা। এছাড়াও থাকে দর্শনার্থীদের জন্য ভোগ প্রসাদ প্রতিদিন দু' বেলা। এখন শুধু প্রহর গোনার পালা। এখন কেবল অপেক্ষা।