পরিবেশ রক্ষার বার্তায় চুঁচুড়া পঞ্চাননতলার ভাবনা থিম ‘বিপন্নতার উৎসমুখে’
অকারণে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। অবিলম্বে পরিবেশকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে।
মিল্টন সেন: অকারণে গাছ কাটা বন্ধ করতে হবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার্থে মানুষকে আরও বেশি সচেতন হওয়ার সময় এসেছে। অবিলম্বে পরিবেশকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে সকলকে। সেই পরিবেশ বাঁচানোর বার্তা নিয়েই চুঁচুড়া পঞ্চাননতলা সর্বজনীনের এবারের ভাবনা ‘বিপন্নতার উৎসমুখে’। সাধারণ মানুষ আসলেই যে বিপন্নতার উৎসমুখে দাঁড়িয়ে তা প্রত্যক্ষ করা যাবে মণ্ডপে প্রবেশ করলেই।
মূলত পরিবেশ বান্ধব জিনিসপত্র ব্যবহার করে তৈরি হয়েছে পুজো মণ্ডপ। ব্যবহার করা হয়েছে বাঁশ, খড়, শালপাতা, নারকেল পাতা, কদবেলের খোসা ইত্যাদি। সময় লেগেছে প্রায় পাঁচ মাস। প্রতিবছরই কিছু না কিছু শিক্ষামূলক থিম পুজোয় তুলে ধরে থাকে চুঁচুঁড়া পঞ্চাননতলা সর্বজনীন। এবারের ভাবনার মাধ্যমে মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গাছ ধ্বংস করায় ক্রমাগত ধ্বংস হচ্ছে পরিবেশ।
তাই বার্তা একটাই, সুরঙ্গের শেষে যেমন ক্ষীণ আলো থাকে। সেই আলোর সন্ধানই হয়ে উঠুক মানুষের সচেতনতা। মন্ডপে ঢুকতে হবে বিশাল এক গর্তের মধ্য দিয়ে। যাকে বলা হয়েছে ধরিত্রীর মুখ। ভিতরে প্রবেশ করলে দেখা যাবে কেটে ঝুলিয়ে রাখা বিশাল এক গাছের গুঁড়ি। প্রতিমা তৈরি করেছেন কলকাতার বিখ্যাত ভাস্কর সৈকত বসু।
মণ্ডপে প্রতিমা অনেক আগেই এসে গেছে। মণ্ডপ সজ্জার শেষ মুহুর্তের কাজও সমাপ্ত হয়েছে। তৃতীয়ার সন্ধ্যে থেকেই উপচে পড়েছে মানুষের ঢল। জেলা মফস্বলের পুজোয় বাজেট কম হয়, তাই সাধারণত পুরোনো মণ্ডপ নিয়ে আসা হয়।
তবে পঞ্চাননতলার মণ্ডপ একেবারেই নতুন। যা তৈরি করতে একাধিক শিল্পী দীর্ঘ সময় পরিশ্রম করেছেন। উদ্যোক্তারা আশাবাদী মূল পুজোর সময় এবারে আরও ভিড় হবে। পরিবেশ সচেতনতার এই বার্তা ছড়িয়ে পড়বে দূর দূরান্তে।
ছবি: পার্থ রাহা