‌থাইল্যান্ডের মণ্ডপের আদলে এবার যক্ষপুরী সেন্ট্রাল কলোনির পুজোতে

Durga Puja: সেন্ট্রাল কলোনির এবার ৬২তম বছরের পুজো। প্রতিবারই সেন্ট্রাল কলোনি একটা বিশেষ জায়গা করে নেয়।

Siliguri Durga Puja, central colony Puja Pnadal

গিরিশ মজুমদার

শিলিগুড়ি

এদেশ থেকে কম খরচে ঘোরার জন্য অন্যতম পছন্দসই দেশ হল থাইল্যান্ড। এবার শিলিগুড়িতে পুজোয় তৈরি করা হচ্ছে সেই থাইল্যান্ডের একটি মণ্ডপ। এনজেপি গেটবাজার লাগোয়া রেলওয়ে ইনস্টিটিউট মাঠে পুজো হয় সেন্ট্রাল কলোনির। তাদের বিশাল মণ্ডপে এবার থিম ‘‌যক্ষপুরী’‌। শিলিগুড়ির বিগ বাজেটের পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম এনজেপি সেন্ট্রাল কলোনির পুজো। থাইল্যান্ডের মন্দিরের অনুকরণে এই মণ্ডপ এবার তৈরি করছেন রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী মেদিনীপুরের গৌরাঙ্গ কুইল্যা। এক মাসের বেশি সময় ধরে প্রায় দিন রাত কাজ করে চলছেন তিনি এবং তাঁর সহযোগীরা। মণ্ডপ তৈরির জন্য নিয়ে আসা হয়েছে ফাইবার, ফিতে, সুতো ও ফোম–সহ নানা উপকরণ। প্রচুর কাগজের কাজ রয়েছে। 

সেন্ট্রাল কলোনির এবার ৬২তম বছরের পুজো। প্রতিবারই সেন্ট্রাল কলোনি একটা বিশেষ জায়গা করে নেয়। দর্শনার্থীরা একবারের জন্য হলেও এই মণ্ডপে আসবেন। অনেকের কাছে এই মণ্ডপ না দেখলে অসম্পূর্ণ থেকে যায় শিলিগুড়ির পুজো দেখা। আর এতেই ভিড় বাড়তে থাকে পুজোর কদিন। এমনও হয় যে কোনও বার বাড়তি দিনের জন্য মণ্ডপ রাখতে হয় দর্শনার্থীদের জন্য। এবারও চোখ ধাঁধানো মণ্ডপ। বাজের প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা। উদ্যোক্তাদের কথায়, এই যক্ষপুরীর থিমের ভাবনার কারণ, সমাজ অবক্ষয়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে। মানবিক ও সামাজিক চেতনার বৈশিষ্ট্যগুলি ক্রমশ যেন অবলুপ্ত হয়ে চলেছে। যক্ষ যেমন তার ধন আগলে রাখেন, এখানে সেরকম যক্ষপুরীর মধ্য দিয়ে অবক্ষয় থেকে মানবিক ও সামাজিক চেতনার বৈশিষ্ট্যকে আকড়ে ধরে রাখার আবেদন জানানো হচ্ছে। যক্ষের মতোই মূল্যবোধের চেতনা ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে। এই পুজো কমিটির সম্পাদক পার্থ দে বলেন, ‘‌এই পুজো মণ্ডপে এত কারুকাজ করা হয় যে দর্শনার্থীরা চোখ ফেরাতে পারেন না। পাশাপাশি, এখানে পুজোর কদিন মেলা বসে। এখানে শিলিগুড়ির বাইরে থেকেও প্রচুর মানুষ পুজো দেখতে আসেন। এবারও আমরা প্রথম স্থান পাওয়ার লক্ষ্যে পুজোর আয়োজন করছি। শিল্পীর নিখুঁত মণ্ডপসজ্জা ও থিমের মধ্য দিয়ে এবারও আমাদের পুজো মণ্ডপ দর্শনার্থীদের ভিড় টানবে।’‌ 

 ছবি:‌ শৌভিক দাস‌