কালীপুজোর আগেই ফলে মন্দিরের পাশের গাছের কাঁঠাল, গাছের মাহাত্ম্য ঘুরে বেড়ায় লোকের মুখে মুখে
দৈবের প্রভাব না অন্যকিছু! কালীপুজো এলেই গাছে ফলে কাঁঠাল। এবারও তাই হয়েছে ধূপগুড়িতে। ধূপগুড়ি থানার কালীমন্দিরে। অথচ এই সময়টা কিন্তু কাঁঠালের মরসুম নয়। অসময়ে প্রতি বছর ফলা এই কাঁঠাল (jackfruit) দিয়েই কালীর ভোগ তৈরি করা হয়। এবছরও গাছে ফলেছে দুটি কাঁঠাল।
আজকাল ওয়েবডেস্ক: দৈবের প্রভাব না অন্যকিছু! কালীপুজো এলেই গাছে ফলে কাঁঠাল। এবারও তাই হয়েছে ধূপগুড়িতে। ধূপগুড়ি থানার কালীমন্দিরে। অথচ এই সময়টা কিন্তু কাঁঠালের মরসুম নয়। অসময়ে প্রতি বছর ফলা এই কাঁঠাল (jackfruit) দিয়েই কালীর ভোগ তৈরি করা হয়। এবছরও গাছে ফলেছে দুটি কাঁঠাল। যা দেবীকে নিবেদন করা হবে। যদি না পাকে তবে এঁচড়ই দেওয়া হয় দেবীকে। আশ্চর্যজনক এই ঘটনার সাক্ষী থাকেন এলাকাবাসী।
এই দেবীমূর্তি পূজিতা হন প্রতি অমাবস্যায়। আড়ম্বরপূর্ণ পূজাই হয়ে থাকে। মন্দিরের পুরোহিত নিরঞ্জন চক্রবর্তী বলেন, 'প্রতিবছর পূজায় কাঁঠাল লাগবেই। কারণ দেবীকে কাঁঠালের ভোগ নিবেদন করা হয়।' জানা যায়, ১৯৯৫ সাল থেকে প্রায় ২৯ বছর তিনি এই পূজার দায়িত্ব সামাল দিয়ে আসছেন। প্রতি বছর অসময়ে ফলা এই কাঁঠাল দিয়েই পূজা করছেন তিনি। তবে বহু পুরনো এই মন্দিরের বয়স তাঁর জানা নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৭০ বছরের পুরনো এই মন্দির। এলাকাবাসী জানান, দেবী খুবই জাগ্রত। একমাত্র একবার মন্দিরের ঠিক পাশেই থাকা এই কাঁঠাল গাছ ভেঙে পড়েছিল। সে বছর পূজায় কাঁঠাল পাওয়া যায়নি। তারপর থেকে প্রতি বছরই কাঁঠাল হয়ে আসছে।
পূজার দিন শুধুমাত্র থানার পুলিশ কর্মীরাই অংশগ্রহণ করেন না। অংশ নেন এলাকার বাসিন্দারাও। বিতরণ করা হয় ভোগ। হয় দরিদ্র নারায়ণ সেবা। পুজো উপলক্ষে আসেন পুলিশ কর্মীদের বাড়ির লোকেরাও। থানায় আসার পর অবাক হয়ে সকালে তাকিয়ে থাকেন এই কাঁঠাল গাছের দিকে।