পুজোর আগে ১০ দিনে চটজলদি কমাতে চান ভুঁড়ি? উপায় জানালেন শন
Durga Puja Fitness Tips: কী করলে পুজোর আগে আকর্ষণীয় ছিপছিপে চেহারা পাবেন? সঙ্গে কী কী খাবার খেলে এই 'ম্যাজিক' দেখে মুগ্ধ হবেন আপনার আশেপাশে থাকা বাকিরাও? সন্ধান দিলেন অভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাহুল মজুমদার
পুজোর আগে ওজন ঝরানোর একটা বড় পর্ব থাকে। সারা বছরের শত অনিয়ম করেও পুজোর আগে শরীরের জমে থাকা জেদি মেদ ঝেড়ে ফেলার একটা দীর্ঘ প্রস্তুতি চলতে থাকে। অনেকের ধারণা কম খাবার খেলেই বুঝি রোগা হওয়া যায়। তাই পুজোর আগে এক প্রকার খাওয়াদাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকেই। কিন্তু উপোস করে থাকা কখনই বাঞ্ছনীয় নয়। আবার খিদে মেটাতে যা খুশি তাই খেয়ে নেওয়া যায় না। তাহলে? কী করলে পুজোর আগে আকর্ষণীয় ছিপছিপে চেহারা পাবেন? সঙ্গে কী কী খাবার খেলে এই 'ম্যাজিক' দেখে মুগ্ধ হবেন আপনার আশেপাশে থাকা বাকিরাও? সন্ধান দিলেন অভিনেতা শন বন্দ্যোপাধ্যায়।
যখন আমরা টলিপাড়ার ফিটনেস নিয়ে কথা বলি, তখন আমরা কীভাবে শনকে ভুলতে পারি? এইমুহূর্তে বাংলা ধারাবাহিকের অন্যতম সুদর্শন অভিনেতার খেতাব তো রয়েইছে তাঁর নামের পাশে, সঙ্গে রয়েছে 'ফিটনেস ফ্রিক'-এর তকমাও। বর্তমানে সারাদিন তিনি শুটিংয়ে ব্যস্ত। প্রায় দু’বছর পর আবার ধারাবাহিকে ফিরেছেন শন। আপাতত তিনি ‘রোশনাই’-এর শুটিংয়ে ব্যস্ত। আজকাল ডট-ইনের তরফে শনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিনেতা বললেন, "সত্যি কথা বলতে, কোনও মন্ত্র আউড়ে কিংবা জাদু পানীয় খেয়ে রাতারাতি কেউ আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী হতে পারেন না। এর জন্য দরকার পরিশ্রম, নিয়মানুবর্তিতা, ধৈর্য্য এবং সঠিক খাবার। চটজলদি কোনও উপায়ে আমরা প্রায় সবাই আকর্ষণীয় চেহারা পেতে চাই কিন্তু তার আগে কত দিন ধরে যে নিজেদের শরীরকে অবহেলা করেছি তা ভুলে যাই"।
পুজো প্রায় চলে এল। হাতে বাকি আর মাত্র ১০টি দিন। একেবারে নিরাশ করছেন না শন। বলে উঠলেন, "আমি যা বলব, তা অক্ষরে অক্ষরে মেনে কেউ চললে আগামী ১০ দিনেই তাঁর মন মতো চেহারা তিনি পাবেন সে কথা জোর দিয়ে না বলতে পারলেও এটুকু বলব এখনকার থেকে আকর্ষণীয় চেহারার অধিকারী হবেন। তবে সবটাই নির্ভর করছে আপনার লক্ষ্যের উপর। যদি কেউ মেদ কমাতে চান তাহলে ডায়েটে ক্যালোরি ডেফিসিট করতে হবে। অর্থাৎ যতটা পরিমাণ ক্যালোরি ব্যায়াম করার ফলে ক্ষয় হচ্ছে তার তুলনায় কম ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেতে হবে। সুঠাম চেহারা পেতে ও সুস্থ থাকতে ব্যায়াম করা যতটা জরুরি, ডায়েটও ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। ডায়েট শুরু করার আগে তাই মানসিক ভাবে প্রস্তুত হন। ওই প্রবাদবাক্যটি মেনে চলুন, 'আপনি যা খান ঠিক সেটাই আপনি'। তাই এখন থেকেই সারাদিনে ধাপে ধাপে এমন খাবার খাবেন যাতে লো-কার্ব থাকে। থাকবে প্রোটিনের ভাগ বেশি। ফ্যাটযুক্ত খাবারও খেতে পারেন তবে অনেকটাই কম। উদাহরণ হিসেবে যেমন বলতে পারি গ্রিলড চিকেন, গ্রিলড করা মাছের নানান পদ, পনীর বেশি করে খান। অবশ্যই টাটকা ও সবুজ শাকসব্জি"।
"এখানে জোর দিয়ে বলতে চাই ঘুমের কথা। অনেক মানুষ আছেন যাঁরা ঘুম জিনিসটিকে বিশেষ পাত্তা দেন না। দিনের পর দিন কম ঘুমান। এরকম করলে শরীর দ্রুত খারাপ হবে। স্বাস্থ্য সঠিক রাখতে এবং শরীরকে ফিট রাখতে ঘুম ভীষণভাবে অপরিহার্য। তাই ৮ ঘন্টা ঘুম ভীষণ জরুরি। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম হলে তবেই শরীর দ্রুত রিকোভার করবে। লাগবে ঝরঝরে এবং মাথা পরিষ্কার কাজ করবে। এবং সঙ্গে বাড়িতে অল্প ব্যায়াম ও হাঁটাহাঁটি। এইসব যদি নিয়ম মেনে করেন আগের তুলনায় মনমেজাজ যেমন ফ্রেশ লাগবে তেমনই শরীর হবে ঝরঝরে"।
কথার শেষে অভিনেতার সংযোজন, "পুজো চলে এলে স্বাস্থ্যের দিকটা আমরা প্রায় অনেকেই ভুলে যাই। এদিকটা আমরা কেউ নজর দিই না যেহেতু খাওয়াদাওয়া, দিনভর ঘোরাঘুরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আর এখানেই হয় মুশকিল। আনন্দ করতে করতে সীমানাটা পেরিয়ে যাই আমরা, পুজোর পর যার খেসারত দিতে হয় শরীরকে। তাই নিজেদের জীবনযাপনের মানকে আরও একটু উন্নত করতে হবে। খাদ্যাভ্যাসের মান ভাল করতে হবে। তাহলে শুধুই পুজোতে নয়, সারা বছর আয়নায় নিজেকে ভাল যেমন দেখতে লাগবে তেমনই মনও থাকবে ফুরফুরে"।